আমাদের কথা
বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এখানে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু আছে। বিদ্যালয়টি মোট ৩৬ টি কক্ষ নিয়ে গঠিত। এখানে আছে সুসজ্জিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার,মহিলাদের পৃথক নামাজের ঘর। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা। ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য আছে স্বাস্থ্যসম্মত পৃথক টয়লেট। সুবিশাল খেলার মাঠ, আছে নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে সর্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা।
বর্তমানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করা সহ সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে প্রাত্যহিক সমাবেশ করা,বিভিন্ন জ্ঞানমূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকা,তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষক,অফিস সহকারীর মধ্যে আন্ত:যোগাযোগের জন্য রয়েছে ইন্টারকম ব্যবস্থা ও সকলের জন্য রয়েছে আধুনিক বায়ো-মেট্রিক স্বাক্ষর ব্যবস্থা।
বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষা বিস্তারের জন্য যোগ্য ও দক্ষ, অভিজ্ঞ ৩৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
মোঃ মোবারক আলী, হাজী আঃ করিম, হাজী মোঃ সফিউল্লাহ, হাজী মোঃ সমির উল্লাহ, আঃ হাকিম(বাক্কে বেপারী), নাসির উদ্দিন সরকার, হাজী আব্দুর রাজ্জাক , হাজী কানু মিয়া, হাজী মোঃ ইয়াসিন, হাজী মোঃ মনসুর আলী, মোঃ কফিল উদ্দিন, ছায়েদ আলী মেম্বার, ফায়েজ হোসেন, আব্দুস ছালাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৫৭ সনে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এদের মধ্যে কেহ জমি, কেহ অর্থ, কেহ শারীরিক পরিশ্রম ও কেহ পরামর্শ দিয়ে বিদ্যালয়টি মাত্র ৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। পরবতীর্তে বিদ্যালয়টি হাটি হাটি পা পা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডে স্বীকৃতি লাভ করে অত্র এলাকায় গুনগত শিক্ষা বিস্তার করে আসছে। বিদ্যালয়টি আধুনিকায়নে পরবতীর্তে যারা বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে হাজী মোঃ আনসার আলী, ডাঃ মোহাম্মদ ইসমাইল, হাজী জয়নাল আবেদীন, হাজী মোঃ শামসুল হক ও জনাব শাহ নেওয়াজ সহ এলাকার গণ্যমান্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ। কালক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সময়ের অনুদান ও এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গে সহায়তায় বিদ্যালয়টি বর্তমান রূপ লাভ করে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর হতে পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে আসছে। জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা, জেএসসি ও এস.এস.সি বোর্ড বৃত্তিতে প্রতি বছর কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটা বিশেষ স্থান দখল করে আসছে।
বিগত ২০০৯ইং সন হতে বিদ্যালয়টি এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে সুষ্ঠভাবে পাবলিক পরীক্ষা ও পরবতীর্তে জে.এস.সি ও পি,এস,সি পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০২০ সাল থেকে পূর্নাঙ্গ এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বিদ্যালয়টি স্থান পায়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
শতভাগ পাসের পরিকল্পনা, এ+ বৃদ্ধি, বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ, সহ-শিক্ষার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলাসহ যুগ ও সমাজের চাহিদা মোতাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা করা।